
ওশান নিউজ প্রতিবেদক : নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা মূলত পতিত স্বৈরাচারের দোসর এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই, নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোণা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, যারা আজ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, তারাই অতীতে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী ছিলেন।
কেউ হয়তো পূর্বাচলে প্লট পেয়েছিলেন, কেউ আবার অন্যভাবে সুবিধা নিয়েছেন। এখন তারাই প্রশ্ন তুলছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অতীতে মব ভায়োলেন্স ছিল, জুলাইয়ের পরেও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে সংবাদ সংগ্রহ করেন।
জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের ফুটেজ ব্যবহার করে অর্থ আয় করে, অথচ মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
শুধু একটি আইডি কার্ড ধরিয়ে বলে দেওয়া হয়, ‘যাও, করে খাও’। এই বাস্তবতা পরিবর্তনে সাংবাদিকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।
সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যিনি আলী রিয়াজকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, তার উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
ঐকমত্য কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই সব স্পষ্ট করা হয়েছে।
টেলিভিশন টকশোতে মিথ্যাচার নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, অনেকে জেনেশুনে মিথ্যা বলেন, কারণ এতে ‘মার্কেট’ বাড়ে।
এমনকি মিডিয়াগুলোও জানে, তারা সত্য বলছেন না তবুও অতিথি করা হয়। মাইলস্টোন, সেন্টমার্টিন কিংবা সেনাবাহিনী কোনো বিষয়ই তারা ছাড়ছে না।
মতবিনিময় শেষে প্রেস সচিব আইটিএস নেত্রকোণার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করেন।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সংস্কার দাবিতে স্মারকলিপি দেন, যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।